ও কালো বউ
ও কালো বউ! জল আনিতে যেয়ো না আর বাজিয়ে মল।
তোমার দেখে শিউরে ওঠে কাজ্লা দীঘির কালো জল।
ও কে চলিছে
ও কে চলিছে বন-পথে একা নূপুর পায়ে বন ঝন ঝন্।
তারি চপল চরণ-আঘাতে দুলিছে নদী-দোলে ফুলবন॥
ও কে বিকাল বেলা বসে
ও কে বিকাল বেলা ব’সে নিরালা বাঁধিছে কেশ।
হেরি’ আর্শিতে নিজেরই চারু-মুখ (চোখে) জাগে আবেশ॥
ও কে সোনার চাঁদ কাঁদে রে
ও কে সোনার চাঁদ কাঁদে রে হেরা গিরির ’পরে।
শিরে তাঁহার লক্ষ কোটি চাঁদের আলো ঝরে॥
ও ঝুম্রো তীর ধনুক নিয়ে
নৃত্যনাট্য : ‘শাল-পিয়ালের বনে’
ও ঝুম্রো! তীর ধনুক নিয়ে বল্ না কোথায় যাস?
ও তুই কারে দেখে
ও তুই কারে দেখে, ঘোমটা দিলি নতুন বউ বল্ গো –
তুই উঠলি রেঙে’ যেন পাকা কামরাঙ্গার ফল গো॥
ও বন্ধু আমার
ও বন্ধু আমার অকালে ঘুম ভাড়াইয়া গো করলে কেন দোষী।
তুমি নীল আকাশের পারা কেন পড়লে বুকে খসি॥
ও বন্ধু দেখ্লে তোমায়
ও বন্ধু! দেখ্লে তোমায়, বুকের মাঝে জোয়ার-ভাঁটা খেলে।
আমি এক্লা ঘাটে কুলবধূ কেন তুমি এলে
ও বাঁশের বাঁশি রে বাজে
ও বাঁশের বাঁশি রে বাজে বাজে নদীর ওপারে।
(ও সে) কেঁদে কেঁদে ডাকে আমায় রাতের আঁধারে॥
ও বাবা তুর্কী নাচন নাচিয়ে দিলে
ও বাবা! তুর্কী-নাচন নাচিয়ে দিলে।
(ওসে) কোন্ অভাগা অঙ্ক-লক্ষ্মী নাম দিল এই শঙ্খ-চিলে॥