নাকে নথ দুলাইয়া চলে
নাকে নথ দুলাইয়া চলে, কাঁখে কলস পোলা কোলে।
যেন হুক্কা বাঁধা থোলে এরা মোর হউরের মাইয়া॥
নাচিছে মোট্কা নাচে
নাচিছে মোট্কা নাচে পিলে-পটকা নাচে হাঁ
নাচে বক্না নাচে বল্দা হাঁ পেত্নী মৌরার নাত্নী
নাচে ঐ আনন্দে নন্দ দুলাল
নাচে ঐ আনন্দে নন্দ-দুলাল
তাতা থৈ তাতা থৈ – নাচে বৃন্দবনে হরি ব্রজ-গোপাল॥
নাচে গৌরীদিবা হিম গির দুহিতা
নাচে গৌরীদিবা হিম-গির-দুহিতা।
নাচে দীপ্তিমতী নাচে উমা তপতী নাচে রে চির-আনন্দিতা॥
নাচে নাচে রে মোর কালো মেয়ে
নাচে নাচে রে মোর কালো মেয়ে নৃত্যকালী শ্যামা নাচে।
নাচ হেরে তার নটরাজও প’ড়ে আছে পায়ের কাছে॥
নাচে সুনীল দরিয়া
নাচে সুনীল দরিয়া আজি দিল্-দরিয়া পূর্ণিমা চাঁদেরে পেয়ে।
কূলে তার ঝুমুর ঝুমুর ঘুঙুর বাজে মিঠে আওয়াজে
নাচো শ্যাম নটবর কিশোর
নাচো শ্যাম-নটবর কিশোর-মুরলীধর অঙ্গ মিশায়ে মম অঙ্গে।
তোমার নাচের শ্রী ফুটুক আমার এই নৃত্য-বিভঙ্গে॥
নাটুয়া ঠমকে যায় রহিয়া
নাটুয়া ঠমকে যায় রহিয়া রহিয়া চাল – কনক পুতলী-র সময় রে।
যত রূপ যত বেশ নয়নে প্রেমাবেশ (নদীয়ায়) দিন হ’ল চাঁদের উদয় রে॥
নাম জপের গুণে ফল্ল ফসল
নাম জপের গুণে ফল্ল ফসল চোখ মেলে দেখ্ আজ।
তোর মন-দেউলে হেলে দুলে নাচের রসরাজ
নাম মোহাম্মদ বোল
নাম মোহাম্মদ বোল রে মন নাম আহমদ বোল।
যে নাম নিয়ে চাঁদ-সেতারা আস্মানে খায় দোল॥