প্রভু তোমাতে
প্রভু তোমাতে যে করে প্রাণ নিবেদন ভয় নাহি আর তার
শত সে বিপদে আপদে তাহার হাত ধরে কর পার॥
প্রভু তোমারে খুঁজিয়া
প্রভু তোমারে খুঁজিয়া মরি ঘুরে ঘুরে বৃথা দূরে চেয়ে থাকি
তুমি অন্তরতম আছ অন্তরে নয়নেরে দিয়ে ফাঁকি॥
প্রভু রাখ এ মিনতি
(প্রভু) রাখ এ মিনতি ত্রিভুবন-পতি তব পদে মতি।
আঁখির আগে যেন সদা জাগে তব ধ্রুব-জ্যোতি॥
প্রভু সংসারেরি সোনার
প্রভু সংসারেরি সোনার শিকল বেঁধো না আর পায়
তোমার প্রেম ডোরে ত্রিভুবন স্বামী বাঁধ হে আমায়॥
প্রাণ চায় চোখে চাহিতে পার না
প্রাণ চায় চোখে চাহিতে পার না, ক্যায়সি য়্যে শরম তোমহারা।
পরিয়া বসন ফেল গো খুলিয়া, জেয়সি উয়ো, আ কর পোকারা॥
প্রাণ বন্ধু রে তোমার জন্যে করলাম ক্ষয়
প্রাণ বন্ধু রে! তোমার জন্যে করলাম ক্ষয়
জ্বালা পোড়া প্রাণে আর কত সয়॥
প্রাণে জাগে হিন্দোল গানে
প্রাণে জাগে হিন্দোল গানে জাগে হিল্লোল,
প্রেমের চামেলি বনে জাগিল মুকুল্।
প্রাণে দিও না ব্যথা
প্রাণে দিও না ব্যথা, ও হে রাধা বিনোদিনী।
তোমায় কি ভুলিতে পারি, তুমি আমার প্রাণ সজনী॥
প্রাণের ঠাকুর লীলা
প্রাণের ঠাকুর লীলা করে আমার দেহের আঙিনাতে
রসের লুকোচুরি খেলা নিত্য আমার তারই সাথে॥
প্রিতম হে আমি যে তোমারি
প্রিতম হে, আমি যে তোমারি চির-আরাধিকা।
তব নাম গেয়ে প্রেম-বৃন্দবনে ফিরি ব্রজ-বালিকা॥
প্রিয়তম এত প্রেম দিও না
প্রিয়তম, এত প্রেম দিও না গো সহিতে পারি না আর
তটিনীর বুকে ঝাঁপায়ে পড়িলে কোন্ মহা-পারাবার॥
প্রিয়ে বলি ও প্রিয়ে
প্রিয়ে... বলি ও-প্রিয়ে.... তুমি দেখ....।
[কাঁপা-কণ্ঠে আবৃত্তির ঢঙে বলা হয়েছে]