শ্যামল তুমি শ্যাম তাই
শ্যামল তুমি শ্যাম তাই এ ধরাধাম সাজায়েছ শ্যাম সুষমায়।
অসীম নভোতল সুনীল ঝলমল তব নীল তনুর আভায়॥
শ্যামলা বরণ বাংলা মায়ের রূপ
শ্যামলা বরণ বাংলা মায়ের রূপ দেখে যা, আয় রে আয়
গিরি-দরি্, বনে-মাঠে, প্রান্তরে রূপ ছাপিয়ে যায়॥
শ্যামা তুই বেদেনীর মেয়ে
শ্যামা তুই বেদেনীর মেয়ে তাই মাঠে ঘাটে বেড়াস্ ধেয়ে’।
তুই কোন্ দুখে এই ভেক নিলি মা থাকতে নিখিল ছেলেমেয়ে॥
শ্যামা তোর নাম
শ্যামা তোর নাম যার জপমালা তার কি মা ভয় ভাবনা আছে।
দুঃখ-অভাব-রোগ-শোক-জরা লুটায় মা তার পায়ের কাছে॥
শ্যামা নামের ভেলায় চড়ে
শ্যামা নামের ভেলায় চ’ড়ে কাল-নদীতে দুলি।
ওমা ঘাটে ঘাটে ঘটে ঘটে সুরের লহর তুলি॥
শ্যামা নামের লাগল আগুন
শ্যামা নামের লাগল আগুন আমার দেহ ধূপ-কাঠিতে।
যত জ্বলি সুবাস তত ছড়িয়ে পড়ে চারিভিতে॥
শ্যামা বলে ডেকেছিলাম
শ্যামা বলে ডেকেছিলাম, শ্যাম হয়ে তুই কেন এলি?
ওমা লীলাময়ী মনের কথা কেমন করে শুনতে পেলি?
শ্যামা বড় লাজুক মেয়ে
শ্যামা বড় লাজুক মেয়ে কেবলই সে লুকাতে চায়।
আলো-আঁধার পর্দা টেনে বালিকা সে পালিয়ে বেড়ায়॥
শ্যামে হারায়েছি বলে
শ্যামে হারায়েছি বলে কাঁদি না বিশাখা হারায়েছি শ্যামের হৃদয়
আমি তারি তরে কাঁদি গো সেই নিদয়ের তরে নয়
শ্যামের সাথে চল সখি
শ্যামের সাথে চল সখি খেলি সবে হোরি।
রঙ নে, রঙ দে, মদির আনন্দে, আয় লো বৃন্দাবনী গোরী॥
শ্রান্ত ধারা বালুতটে
শ্রান্ত-ধারা বালুতটে শীর্ণা-নদীর গান
সেই সুরে গো বাজবে আমার করুণ বাঁশির তান॥
শ্রান্ত বাঁশরি সকরুণ সুরে কাঁদে যবে
শ্রান্ত বাঁশরি সকরুণ সুরে কাঁদে যবে।
কে এলে প্রদীপ ল’য়ে আঁধার ঘরে নীরবে॥
শ্রান্ত হৃদয় অনেক দিনের অনেক কথার ভারে
শ্রান্ত হৃদয় অনেক দিনের অনেক কথার ভারে।
হে বিরহী, গেলে চ’লে, শুনলে নাকো তারে॥
শ্রাবণ রাতের আঁধারে
শ্রাবণ রাতের আঁধারে নিরালা বসে আছি বাতায়নে
রেবা নদীর খরস্রোত বহে বেগে আমার মনে॥
শ্রীকৃষ্ণ নাম জপ অবিরাম
শ্রীকৃষ্ণ নাম জপ অবিরাম থির হও অধীর চিত্ত ওরে।
হরে কৃষ্ণ হরে, হরে কৃষ্ণ হরে, হরে কৃষ্ণ হরে, হরে কৃষ্ণ হরে॥
শ্রীকৃষ্ণ নাম মোর
শ্রীকৃষ্ণ নাম মোর জপ-মালা নিশিদিন শ্রীকৃষ্ণ নাম মোর ধ্যান।
শ্রীকৃষ্ণ বসন শ্রীকৃষ্ণ ভূষণ ধরম করম মোর জ্ঞান॥
শ্রীকৃষ্ণ নামের তরীতে
শ্রীকৃষ্ণ নামের তরীতে কে হবি পার কৃষ্ণ নামের তরীতে!
তরাইতে পাপী পতিত মানবে এলো তরী ভব-নদীতে॥