পঞ্চ প্রাণের প্রদীপ
পঞ্চ প্রাণের প্রদীপ-শিখায় লহ আমার শেষ আরতি।
ওগো আমার পরম-পতি, ওগো আমার পরম-পতি॥
পথ চলিতে যদি চকিতে
পথ চলিতে যদি চকিতে কভু দেখা হয়, পরান-প্রিয়!
চাহিতে যেমন আগের দিনে তেমিন মদির চোখে চাহিও॥
পথিক বন্ধু এসো্ এসো
পথিক বন্ধু এসো্ এসো পাপড়ি ছাওয়া পথ বেয়ে।
মন হয়েছে উতলা গো তোমার আসার পথ চেয়ে॥
পথে কি দেখলে যেতে
পথে কি দেখলে যেতে আমার গৌর দেবতারে।
যা’রে কোল যায় না দেওয়া, কোল দেয় সে ডেকে তারে॥
পথের দেখা এ নহে গো বন্ধু
পথের দেখা এ নহে গো বন্ধু, এ নহে পথের আলাপন।
এ নহে সহসা পথ-চলাশেষে শুধু হাতে হাতে পরশন॥
পথের শঙ্কটে কণ্টকে সখি
পথের শঙ্কটে কণ্টকে সখি কৃষ্ণ-প্রেমময়ী মরে না!
(যদি দেহ মরে, যা, বিদেহ প্রেম তার মনে না, মরে না!)
পদ্মদীঘির ধারে ধারে ঐ সখি লো
পদ্মদীঘির ধারে ধারে ঐ সখি লো কমল-দীঘির পারে।
আমি জল নিতে যাই সকাল সাঁঝে সই,
পদ্মা মেঘনা বুড়িগঙ্গা বিধৌত পূর্ব দিগন্তে
পদ্মা-মেঘনা-বুড়িগঙ্গা-বিধৌত পূর্ব দিগন্তে।
তরুণ-অরুণ-বীণা বাজে তিমির বিভাবরী অস্তে॥
পর হবে তোর আপন জনে
পর হবে তোর আপন জনে (তুই) ভাবনা তবু করিস্ নে।
হয়ত তরী ডুববে জলে (তবু) তুফান দেখে ডরিস্ নে॥