নিপীড়িতা পৃথিবীকে কর কর ত্রাণ

নিপীড়িতা পৃথিবীকে কর কর ত্রাণ

নিপীড়িতা পৃথিবীকে কর কর ত্রাণ।
অসুর সংহারী হে ভগবান॥
দৈত্য অত্যাচারে সন্তান তার,
অন্ন বস্ত্রহীন করে হাহাকার।
নিবস্ত্র নির্জিত শৃঙ্খল পায়
পাষাণ কারাগারে কাঁদে হতমান॥

নিশি ও প্রভাতে মিলন লগন
জাগিল অরুণ তন্দ্রা-মগন,
রাধামাধব মধুবাসরে অতি কাতর ঘুমে।
পাপিয়া কুহু ডাকিয়া কেন গো
সহসা থামিল কুঞ্জে যেন গো,
মেলিয়া আঁখি গিরিমল্লিকা কেন পড়িল ঝুমে॥
কেন চাহিতে গিয়ে ফুল চাহিতে পারে না,
গাইতে গিয়ে পাখি গাইতে পারে না,
যদি শ্যামের ঘুম ভাঙে গাইতে পারে না,
যদি ফুল ফোটা দেখে রাো জেগে ওঠে
ফুল ফুটিতে পারে না।
জটিলা কুটিলা সম কেন এলো ঊষা আর শুকতারা গো।
করুণ অরুণ আসিবে এখনি যেন আয়ানে পারা গো।
চাঁদের হাট এই বৃন্দাবনে কেন রবি উঠিতে চায়।
কোকিল, পাপিয়া, শুকসারী, ময়ূরের দেশে ব্যাধ কেন আসে হায়।
সে তীর কেন হানে গো,
যথা নিত্য থির আনন্দ, সেই বনে বিরহের তীর কেন হানে গো।
কেমনে ভাঙাব ঘুম ঘন শ্যাম কিশোরীর কেমনে করিব রসভঙ্গ সখি গো।
মহাভাবে পুঞ্জিত প্রেম ঘন মাধুরী কেমনে ছুঁইব সে অঙ্গ সখি গো॥