শোন শোন শোন ওস্তাদ মুক্তির তরে

  • তাল : -

শোন শোন শোন ওস্তাদ মুক্তির তরে

লেটো গান : ‘যজ্ঞের ঘোড়া’

শোন শোন শোন ওস্তাদ মুক্তির তরে কে আসিল।
মুক্তি তরে স্বর্গ হতে মর্ত্য ধামে গঙ্গা এলো॥
দিলীপ অংশুমানের ছেলে,
ভগীরথ দিলীপের ছেলে।
কপিল মুনির শিষ্য হয়ে, ব্রহ্মার তপস্যা করল॥
তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মাবর,
ভগীরথে দিলেন বর,
গঙ্গা আসবেন ধরা পর, গঙ্গার কাছে তুমি চল॥
ভগীরথ যায় গঙ্গা কাছে,
গঙ্গা বলে কথা আছে,
ঝাঁপ দিয়ে পড়ব যখন, কে আমাকে ধরবে বল॥
তুমি যাও শিবের কাছে।
শিব ছাড়া কে ধরবার আছে,
শিব যদি না ধরে গঙ্গা, ধরা যাবে রসাতল॥
শিবলোকে ভগীরথ যায়,
তপসায় মিনতি জানায়,
শিব রাজি হয়, গঙ্গা ধরতে মাথা পেতে সে দাঁড়াল॥
গঙ্গা নামে সবেগেতে।
বুড়ো শিবের ঐ মাথাতে।
ভাবে গঙ্গা বুড়ো শিবকে ভাসিয়ে দেবে আমার জল॥
শিব জেনেছে গঙ্গার সন্ধি,
বিছায়ে জটা করে ফন্দি,
গঙ্গা জটায় হলো বন্দী। পাই না খুঁজে জটার তল॥
শিবের কাছে অতিভক্তি
ভগীরথ করে মিনতি,
দেখলে গঙ্গা তোমার শক্তি, পথ করে দাও হে মহাবল॥
একটি জটা খুলে গেল
সেই পথে গঙ্গা নামিল,
জহ্নু মুনি আশ্রমেতে, গঙ্গার সে জল ছুটে এলো।
ভেসে গেল মুনির আশ্রম
কোশাকুশি সব আয়োজন,
মুনি রোষ ভরে তখন গঙ্গা জল পান করিল॥
ভগীরথ মিনতি করে,
জহ্নু মুনির চরণ ধরে,
মেুনি তখন জানু চিরে, গঙ্গাকে বার করে দিল॥
নাম হলো তার জাহ্নবী,
ছুটে চলে দেশ প্লাবী,
শত ধারায় পাতালপুরে কপিলের আশ্রমে গেল।
গঙ্গাবারির স্পর্শ পেল,
ষাট হাজার সব স্বর্গে গেল।
বুঝে নাও ভাই ওস্তাদ ভুবন, সঙ উতোর গাওয়া হলো॥
নজরুল এসলাম উতোর গায়।
লেটো গানের আসরে ভাই,
বজলে করিম গুরু আমার প্রণতি তাঁর কদম তল॥