সখা অসীম আকাশ দিক

সখা অসীম আকাশ দিক

সখা অসীম আকাশ দিক হারায়েছে রাধা হারায়নি দিক।
ঘন দুর্যোগে প্রেম-দীপ জ্বালি’ পথ চলে অনিমিখ্‌।
(কৃষ্ণ প্রেম-যোগিনী রাই দুর্যোগে ভয় করে না,
বলে, কৃষ্ণ যোগের এই শুভখন, দুর্যোগে ভয় করে না)।
সখা, বৃষিটর চিক ফেলিয়া, ভাবিছ রাখিবে নিজেরে ঢাকি
চিকের আড়ালে ঝিকমিক করে তোমার সজল আঁখি।
(হে নিষ্ঠুর, তব এ কী লীলা?
তুমি পথে ডেকে পথ ভুলাইতে চাহ, একি লীলা?
সোজা পথ তুমি বাঁকা কর, বাঁকা এ কি লীলা?)
ভেবেছ পথের কাদা মেখে রাধার রূপ পড়িবে ঢাকা,
কলঙ্কী চাঁদ হে, তোমার বিলাস বুঝি গৌর রূপ দেখিলেই
(তোমায় ঐ ভয়ে কেউ চাহে না কালো কলঙ্ক মাখা!
কলঙ্ক লাগিবার ভয়ে কৃষ্ণ নাম গাহে না!)
তুমি সকল রসের আধার তাই এত সাধ জাগে রাধার
রস-সুধা পান করিবার তরে জড়াইয়া তব দেহ
(যেমন) পাত্র জড়ায়ে রস পান করি, পাত্র খাই না কেহ!
যে দেহে প্রেম-অমৃত-রস-স্রোত বয়ে যায়,
হে কিশোর, কাঁদে প্রাণ তাহারি তৃষ্ণায়!
বঁধু, মোরা গোপী কুলবতী
তুমি ভাব বুঝি তোমারি মতন মোরা চঞ্চল মতি?
(কিশোর মতি চঞ্চল হয় – শ্রীমতি চঞ্চলা নয়
তোমার মতি শ্রীযুক্ত হলে তুমি হও শ্রীমতীময়!
তুমি মতির মালা পর হে
তখন বনমালা ফেলে শ্রীমতীর মালা পর হে!
ভরিলে কলঙ্কে পথের পঙ্কে অভিসারে এনে রাধার প্রিয় হে
বাহিরে দিলে লাজ অসহ বিরহ, অন্তরে আনন্দ প্রেম রস দিও হে॥