বন-কুন্তল এলায়ে বন-শবরী ঝুরে সকরুণ সুরে।
বিষাদিত ছায়া তার চৈতালি সন্ধ্যার চাঁদের মুকুরে॥
চপলতা বিসরি’ যেন বন-যৌবন
বিরহ-ক্ষীণ আজি উদাস উন্মন,
তোলে না্ ঝঙ্কার আর ঝরা পাতার মর্মর নূপুরে॥
যে কুহু কুহরিত মধুর পঞ্চমে বিভোর ভাবে,
ভগ্ন কণ্ঠে তার থেমে যায় সুর করুণে রেখাবে।
কোন্ বন-শিকারির অকরুণ তীর
আলো হ’রে নিল ওই উজল আঁখির –
ফেলে যাওয়া বাঁশি তা’র অঞ্চলে লুকায়ে –
গিরি-দরি-প্রান্তরে খোঁজে সে নিঠুরে॥