মনে পড়ে আজও সেই নারিকেল কুঞ্জ

মনে পড়ে আজও সেই নারিকেল কুঞ্জ

মনে পড়ে আজও সেই নারিকেল-কুঞ্জ গুবাক্ তরুর ঘন-কেয়ারি
বালুচর, বেত-বন, দেখা হ’ত দুইজন, মন হ’ত উন্মন দোঁহারি॥
গাছ থেকে টুপ্টাপ্ ঝরিত কালো জাম
জাম ফেলে চুপচাপ মেঘ পানে চাহিতাম,
গাব নিয়ে কাড়াকাড়ি, ভাব হ’ত, হ’ত আড়ি দু’জনে-
আমি ছিনু ধনিকের ছেলে গো ছিলে ভুইমালিদের তুমি ঝিয়ারী॥
ভূঁইমালিদের ঘরে ভূঁইচম্পার কলি ডুমা-পরা উমা সম খেলিতে,
আমার দালান ঘরে দোতালায় কেন গো উতলা মনে ছায়া ফেলিতে।
সহসা হেরিনু তব বধূরূপ, ভাঙা চালা, হাতে তব চালুনি,
পার্শ্বে দামাল ছেলে কাঁদিছে, হেরিয়া পান্তাভাত আলুনি।
ঘোম্টা টানিয়া দিলে আমারে হেরিয়া
উদাস চোখে এলো কালেঅ মেঘ ঘেরিয়া,
তা’রে চিনতে কি পেরেছিলে প্রণাম যে করেছিল কল্যাণী রূপ তব নেহারি’॥