মহান তুমি প্রিয়!
এই কথাটির গৌরবে মোর চিত্ত ভ’রে দিয়ো॥
অনেক আশায় ব’সে আছি যাত্রা শেষের পর,
তোমায় নিয়েই পথের ’পরে বাঁধবো আমার ঘর –
হে চির-সুন্দর!
পথ-শেষে সেই তোমায় যেন করতে পারি ক্ষমা,
হে মোর কলঙ্কিনী প্রিয়তমা!
সেদিন যেন বলতে পারি, - ‘এসো এসো প্রিয়,
বক্ষে এসো, এসো আমার পূত কমনীয়॥’
হায় হারানো লক্ষ্মী আমার! পথ ভুলেছ ব’লে
চির-সাথী যাবে তোমার মুখ ফিরিয়ে চ’লে?
জান্ ওঠে হায় মোচড় খেয়ে, চলতে পড়ি ট’লে
অনেক জ্বালায় জ্বলে’ প্রিয় অনেক ব্যথায় গলে’।
বারে বারে নানান রূপে ছ’ল্তে আমায় শেষে,
কলঙ্কিনী! হাতছানি দাও সকল পথে এসে,
কুটিল হাসি হেসে॥
ব্যথায় আরো ব্যথা হানাই যে সে!
তুমি কি চাও তোমার মতই কলঙ্কী এই আমি?
এখন তুমি সুদূর হ’তে আসবে ঘরে নামি’।
হে মোর প্রিয়া হে মোর বিপথ-গামী!
পথের আজো অনেক বাকী, তাই যদি হয় প্রিয় –
পথের শেষে তোমায় পাওয়ার যোগ্য করেই নিও॥