ডুবু ডুবু ধর্ম-তরী, ফাট্ল মাইন সর্দা’র
সামাল সামাল পড়ল সাড়া ব-মাল মেয়ে মর্দার॥
এ কোন্ এলো বালাই, এবে পালাই বল কোন্ দেশ,
গাছের নীচে ঘ’ড়েল শেয়াল, কাকের মুখে সন্দেশ।
কন্যা-ডোবা কন্যা এলো, ভাস্ল বুঝি ঘর-দ্বার॥
আয়েস্ ক’রে ধুম্ড়ো মেয়ের বাড়বে বয়েস চৌদ্দ
বাপের বুকের তপ্ত-খোলায়? দিব্যি গেয়ান-বোধ তো!
হদ্দ হ’লেন বৌদি ভেবে, ছাড়ল্ নাড়ী বড়দা’র॥
দিব্যি স্বর্গ-মার্গে যেত গৌরী-দানের মারফৎ
যমের যমজ জামাতৃকে লিখে দিয়ে ফার্খত!
(হ’ল) নৈকষ্য কস্য এখন, জাত গেল ‘মেল-খড়দা’র॥
দেব্তা বুড়ো শিব যে মাগেন আট-বছরী নাতনি,
চতর্দশী মুক্তকেশী – ক’নে নয়, সে হাত্নী!
পুঁটুলি নয় – এঁটুলি সে, কিংবা পুলিশ-সর্দার॥
সিঙ্গি-চড়া ধিঙ্গি মেয়ে বৌ হবে কি? বাপ্ রে!
প্রথম প্রণয়-সম্ভাষণেই হয়ত দিবে থাপ্ড়ে।
লাফ দিয়ে সে বাইরে যাবে ঝাঁপ খুলে ঐ পর্দার॥
সম্বন্ধ ভুলে শেষে যা-তা বলে ডাকব?
বধূ তো নয়, যদুর পিসি! কোথায় তারে রাখব?
ধর্মিণী নয়, জার্মানী শেল! গো-স্বামী, খবরদার॥
টাকাতে নয়, ভাব্নাতে শেষ মাথাতে টাক পড়বে,
যোদ্ধা বামা গুটিয়ে জামা কথায় কথায় লড়বে,
যেই পাবে না সেমিজ, বডিস, কৌটো পানের জর্দার॥
স্বামীকে সে বলবে নাথ, রাখ্বে না মান দুর্গার,
হয়ত কবে বল্বে, ‘পিও, ঝোল রেঁধেছি মুর্গার!’
আন্বে কে বাপ গুর্খা-সেপাই দন্ত-নখর-বর্দার॥
গটমটিয়ে কইবে কথা, কট্মটিয়ে চাইবে,
‘বামা’ সে নয়, ‘ডাইনে সে যে, ডাইনে’ সদা ধাইবে!
নিতুই নতুই চাইবে যেতে সিমলা শিলং হর্দ্বার॥
ভেবেছিলাম জাত নিয়েছিস, জাতিটা নয় যাক্গে,
গৃহিণীরূপ গ্রহণী রোগ, তাও ছিল শেষ ভাগ্যে!
দোক্ত ফেলে গিন্নি কাঁদেন, কর্তা করেন ঘর-বার॥