বেদনার সিন্ধু-মন্থন শেষ, হে ই্ন্দ্রানী,
জাগো, জাগো করে সুধা-পাত্রখানি॥
রোদন-সায়রে ধুয়ে পুষ্পতনু
এসো অশ্রুর বরষার ইন্দ্র-ধনু,
হের কুলে অনুরাগে জীবন-দেবতা জাগে
ধরিবে বলিয়া তব পদ্মপাণি॥
তব দুখ-রাত্রির তপস্যা শেষ – এলো শুভ দিন,
অতল তমসা-পারে প্রভাতের প্রায় জাগো অমলিন।
সুরলোক-লক্ষ্মী গো তুমি অমরার
এসো এসো পার হ’য়ে ব্যথার পাথার।
অশ্রুত অশ্রুব নীরবতা কর দূর
কূলে কূলে হাসির তরঙ্গ হানি’॥