দুর্জয় অভিমান ত্যজ ত্যজ রাধে
মুরলিধারী পায়ে ধরে সাধে॥
মানের গুণে তুই গুণময়ী হয়ে লো ভুল দেখিস বুঝি সবই।
স্বচ্ছ শ্যাম তনু দর্পণে দেখিছিলি রাধা আপনারই ছবি।
(সে যে ছায়া রাধা তারেই আপনার মায়া
মহামায়াময়ী মায়া-রাধা। সে যে ছায়া-রাধা॥)
এই বৃন্দাবন রূপ তোরই যে স্বরূপ তোরই রূপ ললিতা বিশাখা।
তুই পীতাম্বর কিশোরের বেণুকা তুই বনমালা, তুই শিখি পাখা।
শ্যামের চরণে তুই নূপুর রুনুঝুনু ভ্রমরী তুই তাঁর চরণ-কমলে
করুণ-বর্ণা হয়ে তুই যে চন্দ্রা হল ভুলাইলি মোরে কোন ছলে।
(আজ সব কথা বল্ব তোর লীলার আজ সব কতা বল্ব।
হাটের মাঝে ভাঙব হাঁড়ি, সব কতা বল্ব।
তুই আপনি নাচিস কৃষ্ণে নাচাস নাচাস্ গোপিনীদের সব কথা বল্ব।)
নিত্য প্রেমময়ী তুই নিত্য প্রেমময়ের সাথে খেলিস যে খেলা,
(সবই জানি ব্রজ-রানী সবই জানি গো।
তোর প্রেমের এক কণা পেয়ে, সবই জানি গো।)
দিনে তুই কুণ্ঠিতা কূলবধু নিশীথে নিলাজ সাথে নিলাজ খেলা।
যেমন নিলাজ শ্যাম তেমনি তোর অপরূপ লীলা।
যে বুঝেছে তোর খেলা প্রেমে সে গলে গেছে
যে বোঝেনি হয়ে আছে পাষাণ শিলা॥