বঁধু আঁখি জলে কস্তুরী-চন্দন ঘষিনু
শয্যা বিছাইনু সোনার পালঙ্কে।
পথ চেয়ে নিশি মোর
ভোর হতে ওগো চোর
কেন এলে শ্রীঅঙ্গ মাখিয়া কলঙ্কে॥
মুখ দর্পণে দেখ হে, ওহে দর্পহারী
শ্রীমুখ একবার দর্পণে দেখ হে।
শ্যামল তনু কেন ঝামর ভেল
চাঁচর কুন্তল কেন এলোমেলো।
ললাটে মাখা কেন সিন্দুর রেখা
কপোলে লেগেছে কার কাজল লেখা।
তব হিয়ার কলঙ্ক কালি লেগেছে কপোলে হে
কেন আঁচলে মুখ মোছ
নিলাজের লাজ কভু মোছা কি যায় হে।
ও লাজ যাবে না ধুলে শত যমুনার জলে
নিলাজের লাজ কভু মোছা কি যায় হে।
হিয়ার মাঝারে কেন আলতার শোভা
শ্যামা ভেবে কে পূজেছে দিয়ে রাঙা জবা।
অলকা তিলক কে মুছে নিল বনমালা কেন ছিন্ন।
দশ নখ ক্ষত অরুণাধর ভুজে কঙ্কন চিহ্ন।
সিঁদেল চোরের মত নিদে ঢুলুঢুলু আঁখি;
নীলাম্বর পরে এলে হলধর নাকি।
ছি ছি একি হেরি! ছি ছি এ কি হেরি!
হলে নব পরিণয় মালা বদল হয়
দেখিয়াছি ঘনশ্যাম প্রীতিতে রসময় বসন বদল হয়,
নূতন রীতি আজি হেরিলাম মাধব
শুনেছিনু পরমুখে পরপুরুষের মত তোমার রীতি হে।
তব পরাপর জ্ঞান নাই হে পরম পুরুষ
তব পরাপর জ্ঞান নাই শুনেছিনু পরমুখে
হে নিলাজ দেখে আজ হইল প্রতীতি হে, হইল প্রতীতি॥