‘ভূত-ভাগানোর গান’
ঐ তেত্রিশ কোটি দেব্তাকে তোর তেত্রিশ কোটি ভূতে।
আজ নাচ্ বুঢঢি নাচায় বাবা উঠ্তে বস্তে শুতে॥
ও ভূত যেই দেখেছে মন্দিরে তোর
নাই দেবতা নাচ্ছে ইতর,
আর মন্ত্র শুধু দন্ত-বিকাশ, অমনি ভূতের পুতে –
তোর ভগবানকে ভূত বানালে ঘানি-চক্রে জু’তে॥
ও ভূত যেই জেনেছে তোদের ওঝা
আজ নকলের বইছে বোঝা,
ওরে অম্নি সোজা তোদের কাঁধে খুঁটো তাদের পুঁতে –
আজ ভূত-ভাগানোর মজা দেখায় বোম্ ভোলা বম্বুতে॥
ও ভূত সর্ষে-পড়া অনেক ধুনো
দেখে শুনে হ’ল ঝুনো,
তাই তুলো-ধুনো করছে ততই যতই মরিস্ কুঁথে –
ও ভূত নাচ্ছে রে তোর নাকের ডগায় পারিস্নে তুই ছুঁতে॥
আগে বোঝেনি ক’ তোদের ওঝা
তোরা গোঁজামিলের মন্ত্র-ভজা,
(শিখ্লি শুধু চক্ষু-বোঁজা) শিখ্লি শুধু কানার বোঝা কুঁজোর ঘাড়ে থূতে –
তাই আপ্নাকে তুই হেলা ক’রে ডাকিস্ স্বর্গ-দূতে॥
ওরে জীবন-হারা, ভূতে খাওয়া! ভূতের হাতে মুক্তি পাওয়া
সে কি সোজা? ভূত কি ভাগে ফুস-মন্তর ফুঁতে?
তোর ফাঁকির কিন্তু এড়িয়ে – প’ড়বি কূল-হারা ‘কিন্তু’ তে!
ওরে ভূত তো ভূত – ঐ মায়ের চোটে
ভূতের বাবাও উধাও ছোটে,
ভূতের বাপ ঐ ভয়টাকে মার্, ভূত যাবে তোর চুটে –
তখন ভূতে-পাওয়া এই দেশই ফের ভ’রবে দেব্তা দূতে॥