স্ত্রী : তুমি কি নিশীথ চাঁদ ভাঙাতে ঘুম
চুপি চুপি আসিলে বাতায়নে।
পুরুষ : তুমি কি গো বন-দেবী পুষ্প-শোভিতা
চেয়ে আছ কোন্ দূরে আনমনে॥
স্ত্রী : তোমারে হেরিয়া ফোটে মালতী হেনা
হে চির চেনা
পুরুষ : সুদূর বনান্তে সমীরণ হেরি’ তোমায় হ’লো অধীর
পাপিয়া ডাকে বকুল বনে॥
স্ত্রী : তব কলঙ্ক অধিক মধুর লাগে হে কলঙ্কী চাঁদ,
তোমারে হেরিয়া যত সাধ জাগে প্রাণে জাগে তত অবসাদ।
পুরুষ : তোমার ছায়া প’ড়ে মোর আননে
কলঙ্কী নাম হলো মোর এই ভুবনে।
উভয়ে : আকাশের চাঁদে কুমুদ ফুলে
মিলন হ’লো ধরার ভুলে
অশ্রুসায়রে সঙ্গোপনে॥