কুঁজী নাচে, কুঁজী নাচে।
বাঁকা শ্যামের বেণু শু’নে এঁকে বেঁকে রে কুঁজী বেঁকী নাচে॥
খণ্ডত্-এর মত উল্টানো বাঁটির মত কুঁজী নটী নাচে॥
চেয়ে বলরামের পানে, দু’হাত ঘোম্টা টানে
আধ হাত বের করে জিভ পিছন ফিরে নাচে
বলে, ‘ওমা, ভাসুর যে!’ বের ক’রে জিভ নাচে॥
কুঁজী নাচে, ডেঁকিতে যেন ধান ভানে,
বাঁশর ব্যাঁখারী নাচে চেয়ে বাঁকার পানে।
পৃষ্ঠে ঢাক বেঁধে, দিদি, নাচে যেন ঢুলি,
(যেন) লক্ষ্মী প্যাঁচা ক্যাঙারুতে খেল্তেছে ডাংগুলি।
উঁচিয়ে নলী বগী নাচে রাজহংসের পাশে
ভোঁদড়-নাচ দেখ্বি যদি চল্ মথুরার রাসে।
দাঁড়িয়ে সিংহাসনের পাশে ক্রুর অক্রুর ঋষি
মহারাজা কৃষ্ণের বামে কুব্জা রাজ-মহিষী।
সে মহিষীই বটে গো –
মোষের মত চেহারা তার মহিষীই বটে গো!
সে ব্রজের গোপী যদি হেরে শিং নেড়ে আসে তেড়ে ; মহিষীই বটে গো!
মথুরাতে সখি, রাখাল-রাজার রাখালি আছে অটুট
ব্রজে চরাইতে ধেনু, মথুরায় গিয়ে চরায় মহিষী উট!
দুলায়ে হাঁসুলি নাচে কুঁজ্ওয়ালী ভাবে দু নয়ন বুঁজি’
ভয়ে শ্রীকৃষ্ণ পাঁচনী ঘুরায়, এই ধরে তায় বুঝি!
কুঁজীর কুঁজে বুলিয়ে দাড়ি নারদ ঋষি কন
জগৎ নাচাও, নাচো এবার মদন-মোহন! (ঐ কুঁজীর সাথে)॥