‘ল্যাবেণ্ডিশ বাহিনীর বিজাতীয় সঙ্গীত’
কোরাস্ : কে বলে মোদেরে ল্যাডাগ্যাপ্চার? আমরা সিভিল গাড়,
অরাজক এই ভারত-মাঠে হে আমরা উদ্মো ষাঁড়॥
মোরা লাঙল জোয়াল দড়াদড়ি-ছাড়া
বড় সুখে তাই দিই শিং-নাড়া,
অসহ-যোগীও করিবে না তাড়া রে –
ওরে ভয় নাই, ওরা বৈষ্ণব বাঘ, খাবে না মোদের হাড়!
চল ব্যাং-বীর, বল ঠ্যাং নেড়ে জোর, ছেডেডে ডেডেং হার্র্!
কোরাস্ : কে বলে ইত্যাদি –
মোরা গলদ্ঘর্ম যদিও গলিয়া,
বড় বেজুত ক’রেছে লেজুড় ডলিয়া,
তবু গলদ্ ক’রো না বলদ বলিয়া হে,
মোরা বড় দরকারী সহকারী গরু, তরকারি নহি তা’র!
তবে গতিক দেখিয়া অধিক না গিয়া সটান পগার পার!
কোরাস্ : কে বলে ইত্যাদি –
আজ গোবরগণেশ গোবরমন্ত
ল্যাজে ও গোবরে খিঁচেন দন্ত,
তবু করুণার নাহি ক অন্ত হে,
যত মামাদের কড়ি ধামা-ধরে দিয়া আমাদেরি ভাঙে ঘাড়!
আর বাবাদের বেঁধে ঠ্যাঙাতে মোরাই কেটে দি’ বাঁশের ঝাড়॥
কোরাস্ : কে বলে ইত্যাদি –
হ’য়ে ইভলের গুরু ডেভিল পশুর –
সিভিল-বাহিনী, কি এত কসুর
ক’রেছি মাইরি? বল তো শ্বশুর হে!
ঐ রাঙামুখে বাবা অন্ন দি’ তুলি’ নিজে খাই জোলো মাড়,
তবু সেলাম ঠুকিতে ম’লাম বাবা গো চক্র মাজা ও ঘাড়!
কোরাস্ : কে বলে ইত্যাদি –
বহে কালাতে ধলাতে গঙ্গা-যমুনা,
আমরা তাহারি দিব্যি নমুনা,
এ-রীতি পিরিতি বুঝিবে কভু না হে,
তাই কালামুখ প্রেমে আলো করি হাঁকি – ‘তাড়্রে টেটিভ্ তাড়্’!
তবে কোপন স্বভাব দেখিলে দেখিলে অমনি গোপন খাম্বা-আড়!
কোরাস্ : কে বলে ইত্যাদি –
এবে কাঁপিবে মেদিনী শত উৎপাতে
চিৎপটাং সে কত ‘ফুটপাথে’
হবে আমাদেরি ভীম কোঁৎকাতে হে!
তবে পরোয়া কি দাদা? ক্যাঁক্ড়ার সম নিস্পিস্ নাড় দাড়
যদি নিশ্চল হাতে পিস্তল কাঁপে তবু গোঁফে দাও চাড়।
কোরাস্ : কে বলে ইত্যাদি –
বাবা ! যদিও এ-দেহ ঝুনো ঠন্ঠন্
তবু লোকে ভাবে ঠুঁটো পল্টন।
আরে ঘোড়া নাই? বাস্, পায়ে হণ্টন হে!
বাজে করতাল – আজ হরতাল। ডাকে আত্মা যে খাঁচা ছাড়া!
ওরে ‘ওয়ান পেস্ স্টেপ্ ফরওয়ার্ড মার্চ, থুড়ি থুড়ি ব্যাক্ওয়ার্ড।’