ঘুটঘুটে এই অন্ধকারে মা, হৃদয় হয়েছে ঘুঁটে।
অঙ্গ কুঁচকে হয়েছে পুঁচকে হাত পা হয়েছে কুঠে॥
প্যাঁচা যদি খ্যাচ খ্যাচায় মা, মাচায় উঠিয়া বসি’।
বউ যদি হাঁচে ফ্যাচ করে, ভয়ে কাছা পড়ে খসি’॥
প্রতি পদে পদে পতনের ভয় আপনি দুই পা নাচে।
দেখি, ভাঁড় ভরা ধেনো মাড় খেয়ে ষাঁড় পাঁড় হয়ে পড়ে আছে॥
মা, তুই বর দেওয়ার আগেই বর্বরেবা এসে।
ঠেসে ধরে নিয়ে যাবে চিত্রগুপ্তের দেশে॥
হাত থাকতে তুই হয়েছিস মাগো শ্রীজগন্নাথ ঠুঁটো।
পাছে, ক্ষুধায় জ্বলে এই ছেলে তোর, ভাত চায়-দু-মুঠো॥
দশ হাত তোর বাতে অবশ, কি আর দিবি বল।
দেবার মধ্যে দিয়েছিল মাগো শুধুই চোখের জল॥
আঁধার রাতি নাইকো বাতি ঠাকুর দেখবে কে?
দেওয়ালি তোর জ্বলবে সে দিন দেয়াল ভেঙে দে॥
পথ-ঘাট সব তিমির ঘেরা সর্ছে ঘরের মাল।
মা, ঘরের আলো নিভলো – এবার চিতার আগুন জ্বাল॥