‘ডোমিনিয়ন স্টেটাস’
কোরাস : বগল বাজা দুলিয়ে মাজা, বসে কেন অমনি রে।
ছেঁড়া ঢোলে লাগাও চাঁটি, মা হবেন আজ ডোমনী রে॥
রাজা শুধু রাজাই রবেন! পগার পারে নির্বাসন,
রাজ্য নেবে দু’ভাই মিলে দুর্যোধন আর দুঃশাসন!
অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র র’বে হিংসাসনে মাত্র নাম!
কোঁৎকা যা’বে রইবে শুধু বোঁটকা খানিক গাত্র-ঘাম॥
অনেক কিছু সয়ে গেছে, গন্ধটা আর সইবে না?
কি ক’স? গলা-বন্ধটা? এ-ও-দু’দিন বাজে রইবে না!
কলসি-কানার প্রহার খেয়েও প্রভু কেয়সা প্রেম বিলায়।
‘গউর’ ব’লে ‘প্রেমসে’ নাচে জগাই মাধাই – দেখছি আয়॥
রইত কেউ রাজা হেথাও, না হয় সেথাই রইল কেউ!
আচ্ছা ফ্যাসাদ যা হোক! তবু বাঘের পিছে লাগবি ফেউ?
ঠুঁটো হ’লেও হাত পেলি ত! ছিলি যে একদম বে হাত!
একেবারেই ঠ্যাং ছিল না, পেলি ত এক ঠ্যাং নেহাৎ!
ভিক্ষের চাল কাঁড়ােই হোক – আর আঁকড়া – তাই ঝোলায় ভর।
ওই চিবিয়ে জল খেয়ে থাক। ফেনও পাবি অতঃপর।
ধের্য ধ’রে থাকে বেড়াল তাই ত শেষে পায় কাঁটা,
পাত হ’তে সে মাছ তুলে’ নেয়? তেমনি সে যে খায় ঝাঁটা
ভারত একার নয় ত কারুর – বিশ্ব-আড়ত, পীঠস্থান!
পারত্-পক্ষে মারতে কসুর করে নি কেউ হুণ-পাঠান!
চিরটা কাল বনের মোরা লোমশ মুনিই ছিলুম দেখ্!
আহার ছিল শাক-পাতা আর ভাবের গাঁজা ছিলিম টেক!!
আজ তুব কেক্ বিস্কুট খা’স, হয়েও গেলি প্রায় রাজাই!
গাল বাজাই আয় কানাডা আয় অস্ট্রেলিয়ার ভায়রা-ভাই!
ধুনচি মাথায় হাতে ধামা দেখে মোদের রসিক রাজ –
ডোমের জাতি ভেবে – দিলেন ডোমনি করে মাতায় আজ॥
বন্দিনী মা ছিলেন আহা, আজ দিয়েছে মুক্তি রে!
বাজাও ধামা মামার নামে রক্ত ঢাল বুক চিরে’!
এবার থেকে ধামাধারি বলদ-দল, ভাবনা কি?
দিব্যি খাবে ডুবিয়ে নুলো পাৎনা নাদায় জাব মাখি’॥
হাতির পিছে নেংচে চলে ব্যাংছা’ এবং খলসে রে!
দোহাই দাদা, চলিস্ নে আর, চোখ যে গেল ঝলসে রে!
‘মাভৈঃ! এবার স্বাধীন হ’নু!’ যাই বলেছি, পৃষ্ঠে ঠাস!
পড়ল মনে, পীঠস্থান এ, ডোমিনিয়ন্ স্টেটাস্!