বঁধু ফিরে এসো

বঁধু ফিরে এসো

বঁধু ফিরে এসো, আজো প্রাণের প্রদীপ রেখেছি আঁচল ঢেকে।
বিরহ-নিশাসে দীরঘ বাতাস কেঁপে ওঠে থেকে থেকে।
আখর : (আর রাখিতে নারি
নিবু নিবু দীপ রাখতে নারি
বুঝি আমার পরাণ-প্রদীপ নিভাবে-আমরি নয়ন-বারি।)
বঁধু যমুনার তীরে আসি ফিরে ফিরে কল্প-কদম-তরু-তলে,
হেরি বালুচরে বেণু আছে পড়ে ডাকে না আর রাধা বলে।
অভিমানী বাঁশি আমার বুকে আসি’ কেঁদে কেঁদে কহে যেন গো,
হরি আরাধিকা এলে যদি শ্রীহরি এলনা কেন গো!
পায়ে প’ড়ে কাঁদে এসে যমুনার ঢেউ
বলেরাধা ব’লে আর ডাকে না ত কেউ।
জটিলা কুটিলা আজ কলহ ভুলে
জড়ায়ে মোরে কাঁদে যমুনা-কূলে।
বলে কৃষ্ণ কই গো
এই বিরহ-যমুনায় পার হব কবে, বল হে বিরহী মম
বল কোন্‌ সে গোলকে রহিবে চোখে চোখে
প্রিয়তম হে কৃষ্ণ আঁখি-তারা সম॥