কেন প্রাণ ওঠে কাঁদিয়া
কাঁদিয়া কাঁদিয়া কাঁদিয়া গো।
আমি যত ভুলি ভুলি করি, তত আঁকড়িয়া ধরি
শ্যামের সে রূপ ভোলা কি যায়, নিখিল শ্যামল যার শোভায়
আকাশে সাগরে বনে কান্তারে লতায় পাতায় সে রূপ ভায়।
আমার বঁধুর রূপের ছায়া বুকে ধরি‘ আকাশ-আরশি নীল গো
বহে ভুবন প্লবিয়া কালারে ভাবিয়া কালো সাগর-সলিল গো। সখি গো –
যদি ফুল হয়ে ফুটি তরু-শাখে, সে যে পল্লব হয়ে ঘিরে থাকে। সখি গো –
আমি যেদিকে তাকাই হেরি ও-রূপ কেবল
সে যে আমারি মাঝারে রহে করিঁঁ‘ নানা ছল
সে যে বেণী হয়ে দোলে পিঠে চপল চতুর।
সে যে আঁখির তারায় হাসে কপট নিঠুর।
তারে কেমনে ভুলিব, সখি কেমনে ভুলিব।
থাকে কবরী-বন্ধে কালো ডোর হয়ে কাল্ফণী কালো কেশে গো
থাকে কপালের টিপে, চোখের কাজলে কপোলের তিলে মিশে‘ গো।
আমার এ-কূল ও-কূল দু‘কুল গেল।
কূলে সই পড়িল কালি সেও কালো রূপে এলো।
রাখি কি দিয়া মন বাঁধিয়া, বাঁধিয়া বাঁধিয়া বাঁধিয়া গো॥