আমি শ্যামা বলে
আমি শ্যামা বলে ডেকেছিলাম, শ্যাম হ’য়ে তুই কেন এলি।
ওমা লীলাময়ী কেমন করে মনের কথা শুনতে পেলি॥
আমি শ্রান্ত হয়ে আস্ব
আমি শ্রান্ত হয়ে আস্ব যখন পড়ব দোরে ট’লে
আমার লুটিয়ে-পড়া দেহ তখন ধ্বে কি ঐ কোলে?
আমি সূর্যমুখী ফুলের মত
আমি সূর্যমুখী ফুলের মত দেখি তোমায় দূরে থেকে
দলগুলি মোর রেঙে ওঠে তোমার হাসির কিরণ মেখে’॥
আমি হজে যেতে পাইনি বলে
আমি হজে যেতে পাইনি ব’লে কেঁদেছিলাম রাতে।
তাই হযরত এসে স্বপ্নে মাগো ধরেছিলেন হাতে॥
আমি হাত তুলেছি
(আমি) হাত তুলেছি তোর পানে মা (তুই) মোর হাত ধরবি বলে,
(তুই) ভিক্ষা কেন দিস্ মা হাতে হাত বেঁধে রাখ্ চরণ-তলে।
আমিনা দুলাল এসো মদিনায় ফিরিয়া আবার
আমিনা দুলাল এসো মদিনায় ফিরিয়া আবার, ডাকে ভুবনবাসী।
হে মদিনার চাঁদ! জ্যোতিতে তোমার, আঁধার ধরার মুখে ফোটাও হাসি॥
আর অনুনয় করিবে না
আর অনুনয় করিবে না কেউ কথা কহিবার তরে
আর দেখিবে না স্বপন রাতে গো কেহ কাঁদে হাত ধ’রে।
আর আমায় বাঁধিস না করে
আর আমায় বাঁধিস না করে, ওগো ও মা নন্দরানী।
তোর ননীর ঘরে যাব না, আর খাব না তোর ননী॥
আর কত দুখ্ দেবে
আর কত দুখ্ দেবে, বল মাধব বল বল মাধব বল।
দুখ্ দিয়ে যদি সুখ পাও তুমি কেন আঁখি ছলছল॥
আর কিছু ত জানি না মা
আর কিছু ত’ জানি না মা ঐ চরণে শরণ দে মা।
(আমি) জানি শুধু তুই মা আমার আপন জনে চায়না কে মা॥
আর বাঁশি আর বাঁশি বাজাও না
আর বাঁশি, - আর বাঁশি বাজাও না কালিয়া।
তোমার বাঁশির সুর শুনে, মোর মন যে গেল মাতিয়া॥