আমার নয়নে কৃষ্ণ নয়নতারা
আমার নয়নে কৃষ্ণ-নয়নতারা হৃদয়ে মোর রাধা-প্যারী।
আমার প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসা শ্যাম-সোহাগী গোপ-নারী॥
আমার নয়নে নয়ন রাখি
আমার নয়নে নয়ন রাখি’ পান করিতে চাও কোন্ অমিয়।
আছে এ আঁখিতে উষ্ণ আঁখি-জল মধুর সুধা নাই পরান-প্রিয়॥
আমার প্রাণের দ্বারে ডাক দিয়ে কে যায়
আমার প্রাণের দ্বারে ডাক দিয়ে কে যায় বারে বারে।
তাঁর নূপুর-ধ্বনি রিনি ঝিনি বাজে বন-পারে॥
আমার বিছানা আছে
আমার বিছানা আছে বালিস আছে বৌ নাই মোর খাটে
(ওগো) তার বিরহে বারোটা মাস কেমন ক‘রে কাটে ও দাদা গো॥
আমার বিজন ঘরে হেসে
আমার বিজন ঘরে হেসে এলো পথিক মুসাফির-বেশে।
শরমে মরিয়া তারে শুধাই, তরুণ পথিক, কি তব চাই?’
আমার বিদায় রথের চাকার ধ্বনি
আমার বিদায়-রথের চাকার ধ্বনি ঐ গো এবার কানে আসে।
পুবের হাওয়া তাই কেঁদে যায় ঝাউ-এর বনে দীঘল শ্বাসে॥
আমার বিফল পূজাঞ্জলি
আমার বিফল পূজাঞ্জলি অশ্রু-স্রোতে যায় যে ভেসে
তোমার আরাধিকার পূজা হে বিরহী, লও হে এসে॥
আমার বিয়ের শখ মিটেছে
আমার বিয়ের শখ মিটেছে, দাদার বিয়ে দিয়ে।
আমি করব না আর বিয়ে, আমি করব না আর বিয়ে॥
আমার বুকের ভেতর
আমার বুকের ভেতর জ্বলছে আগুন, দমকল ডাক ওলো সই।
শিগ্গির ফোন কর বঁধুরে, নইলে পুড়ে ভস্ম হই॥
আমার ভাঙা নায়ের বৈঠা ঠেলে
আমার ভাঙা নায়ের বৈঠা ঠেলে’
আমি খুঁজে বেড়াই তারেই রে ভাই যে গিয়েছে আমায় ফেলে’॥
আমার ভিজে গেল আঁচলখানি
আমার ভিজে গেল আঁচলখানি চোখের জলে লো।
আমি ঝাঁপ দিব যমুনার জলে, তোরা কে কে যাবি লো॥
আমার ভুবন কান পেতে রয়
আমার ভুবন কান পেতে রয় প্রিয়তম তব লাগিয়া
দীপ নিভে যায়, সকলে ঘুমায় মোর আঁখি রহে জাগিয়া॥
আমার মা আছে রে সকল নামে
(আমার) মা আছে রে সকল নামে মা যে আমার সর্বনাম।
যে নামে ডাক শ্যামা মাকে পুর্বে তাতেই মনস্কাম॥
আমার মানস বনে ফুটেছে রে শ্যামা
আমার মানস-বনে ফুটেছে রে শ্যামা-লতার মঞ্জরি।
সেই মঞ্জু-বনে ফিরছে রে তাই ভক্তি-ভ্রমর গুঞ্জরি॥
আমার মালায় লাগুক
আমার মালায় লাগুক তোমার মধুর হাতের ছোঁওয়া
ঘিরুক তোমায় মোর আরতি পূজা-ধূপের ধোঁওয়া॥
আমার মুক্তি নিয়ে
আমার মুক্তি নিয়ে কি হবে মা, (মাগো) আমি তোরেই চাই
স্বর্গ আমি চাইনে মাগো, কোল্ যদি তোর পাই॥
আমার যখন পথ ফুরাবে
আমার যখন পথ ফুরাবে, আসবে গহীন রাতি ( খোদা) –
তখন তুমি হাত ধ’রো মোর হ’য়ো পথের সাথি (খোদা) ॥