আমার শ্যামা মায়ের
আমার শ্যামা মায়ের কোলে চ’ড়ে জপি আমি শ্যামের নাম
মা হলেন মোর মন্ত্র-গুরু ঠাকুর হলের রাধা-শ্যাম॥
আমার সকলি হরেছ হরি
আমার সকলি হরেছ হরি এবার আমায় হ’রে নিও।
যদি সব হরিলে নিখিল-হরণ তবে ঐ চরণে শরণ দিও॥
আমার সুরের ঝর্না ধারায় করবে তুমি স্নান
আমার সুরের ঝর্না-ধারায় করবে তুমি স্নান।
ওগো বধু! কণ্ঠে আমার তাই ঝরে এই গান॥
আমার হাতে কালি মুখে
আমার হাতে কালি মুখে কালি, মা
আমার কালি মাখা মুখ দেখে মা পাড়ার লোকে হাসে খালি॥
আমার হৃদয় অধিক
আমার হৃদয় অধিক রাঙা মা গো রাঙা জবাব চেয়ে,
আমি সেই জবাতে ভবানী তোর চরণ দিলাম ছেয়ে॥
আমার হৃদয় শামাদানে জ্বালি মোমের বাতি
আমার হৃদয়-শামাদানে জ্বালি’ মোমের বাতি।
নবীজী গো! জেগে’ আমি কাঁদি সারা রাতি॥
আমারে চোখ ইশারায়
আমারে চোখ ইশারায় ডাক দিলে হায় কে গো দরদি।
খুলে দাও রং মহলার তিমির-দুয়ার ডাকিলে যদি॥
আমারে ভুলেছ বলে করিনি ত অভিমান
আমারে ভুলেছ বলে করিনি ত’ অভিমান,
তোমার ক্ষণিক প্রেম আমারে দিয়েছে মান।
আমারে সকল ক্ষুদ্রতা হতে বাঁচাও প্রভু উদার
‘মোনাজাত’
আমারে সকল ক্ষুদ্রতা হ’তে বাঁচাও প্রভু উদার!
আমায় আঘাত যত হানবি শ্যামা
আমায় আঘাত যত হানবি শ্যামা ডাকব তত তোরে।
মায়ের ভয়ে শিশু যেমন লুকায় মায়ের ক্রোড়ে॥
আমায় আর কতদিন মহামায়া রাখ্বি মায়ার ঘোরে।
(আমায়) আর কতদিন মহামায়া রাখবি মায়ার ঘোরে।
(মোরে) কেন মায়ার ঘূর্ণিপাকে ফেললি এমন করে॥
আমায় উপায় বল লো ললিতে
আমায় উপায় বল লো ললিতে, কৃষ্ণ হারা হলাম গোকুলে।
আমার নাইকো ক্ষুধা, নাইকো তৃষ্ণা, নিন্দ্রা নাই মোর আঁখিতে॥
আমায় যারা ঘিরে আছে আমার মুখে চেয়ে
আমায় যারা ঘিরে আছে আমার মুখে চেয়ে।
তারা আমার নহে হে নাথ, (তারা) তোমার ছেলে মেয়ে॥