আমি অগ্নি শিখা মোরে বাসিয়া ভালো
আমি অগ্নি-শিখা, মোরে বাসিয়া ভালো।
যদি চাও, তব অন্তরে প্রদীপ জ্বালো॥
আমি আছি বলে
আমি আছি ব’লে দুখ পাও তুমি তাই আমি যাব চ’লে
এবার ঘুমাও প্রদীপের কাজ শেষ হয়ে গেছে জ্ব’লে॥
আমি আম চাহিতে
আমি আম চাহিতে জাম দিলে, আর জাম চাহিতে কি-না আম॥
আমি চড়্বার ঘোড়া চাইতে শেষে, ওগো ঘোড়াই ঘাড়ে
আমি কলহের তরে কলহ করেছি
আমি কলহের তরে কলহ করেছি বোঝ নাকি রসিক বঁধু।
তুমি মন বোঝ মনোচোর মান বোঝ নাকি হে –
আমি কালি যদি পেতাম
আমি কালি যদি পেতাম কালী রইত না এ মনে কালি।
মোর সাদা মনের প দ্মপাতায় লিখ্তাম তোর শ্রীনাম খালি॥
আমি কালী নামের ফুলের ডালি
আমি কালী নামের ফুলের ডালি এনেছি গো মাথায় ক’রে।
দুখের সাগর পার হয়ে যায় এ ফুল যে বুকে ধ’রে॥
আমি কুল ছেড়ে চলিলাম
আমি কুল ছেড়ে চলিলাম ভেসে বলিস্ ননদীরে সই, বলিস্ ননদীরে।
শ্রীকৃষ্ণ নামের তরণীতে প্রেম-যমুনার তীরে বলিস্ ননদীরে
আমি কৃষ্ণচূড়া হতাম যদি
আমি কৃষ্ণচূড়া হতাম যদি হতাম ময়ূর-পাখা, (সখা হে)!
তোমার বাঁকা চূড়ায় শোভা পেতাম ওগো শ্যামল বাঁকা॥
আমি কেমন করে কোথায় পাব কৃষ্ণ চাঁদের দেখা
নাটক : ‘বিল।বমঙ্গল’ (বিল্বমঙ্গলের গান)
আমি কেমন ক’রে কোথায় পাব কৃষ্ণ চাঁদের দেখা।
আমি গত জনমে হে প্রিয় যত কথা বলেছিনু
আমি গত জনমে, হে প্রিয়, যত কথা বলেছিনু তব কাছে।
ফুল হয়ে সেই কথা আজ পৃথিবীতে ফুটিয়াছে॥