কালিন্দী নদীর ধারে ডাকছে বালি হাঁস
কালিন্দী নদীর ধারে ডাকছে বালি-হাঁস গো ডাকছে বালি-হাঁস।
মানিক-জোড়ের ঝুমকো প’রে হাসছে লো আকাশ॥
কালী কালী মন্ত্র জপি
‘কালী কালী’ মন্ত্র জপি ব’সে শোকের ঘোর শ্মশানে।
মা অভয়ার নাম গুণে শান্তি যদি পাই এ প্রাণে॥
কালের শঙ্খে বাজিছে আজও
কালের শঙ্খে বাজিছে আজও তোমারই মহিমা, ভারতবর্ষ।
প্রণতি জানায়ে বিশ্বভুবন শিখিছে আজিও তব আদর্শ॥
কালো জল ঢালিতে সই
কালো জল ঢালিতে সই চিকন কালারে পড়ে মনে।
কালো মেঘ দেখে শাওনে সই পড়্ল মনে কালো বরণে॥
কালো জাম রে ভাই
কালো জাম রে ভাই! আম কি তোমার ভায়রা ভাই?
লাউ বুঝি তোর দিদি মা, আর কুম্ড়ো তোর দাদা মশাই॥
কালো মেয়ের পায়ের তলায়
কালো মেয়ের পায়ের তলায় দেখে যা আলোর নাচন।
(তার) রূপ দেখে দেয় বুক পেতে শিব যার হাতে মরণ বাঁচন॥
কালো রূপে আমি কেন নয়ন দিলাম সই
কালো রূপে আমি কেন নয়ন দিলাম সই।
কালো দেখে কালার রূপে আমি পাগল হই॥
কাহার তরে হায় নিশিদিন কাঁদে মন-প্রাণ
কাহার তরে হায় নিশিদিন কাঁদে মন-প্রাণ।
জানে শুধু সেই, জানে মোর হৃদি ব্যথা-ম্লান॥
কি গুণে হে গুণনিধি
কি গুণে হে গুণনিধি, মজাইলে অবলা।
প্রেম মজায়ে, দাও হে জ্বালা, ছি ছি নিঠুর কালা॥
কি জানি পইড়াছে বন্ধু মনে বুক ফেটে যায় বন্ধুর বিহনে
কি জানি পইড়াছে বন্ধু মনে,
বুক ফেটে যায় বন্ধুর বিহনে॥
কি নাম ধরে ডাকবো
কি নাম ধ’রে ডাকবো তোরে মা তুই দে ব’লে
ওমা কি নাম ধরে কাঁদলে পরে ধ’রে তুলিস কোলে ( মাগো)॥
কিছু নাহি যার তোমারে দিবার
কিছু নাহি যার তোমারে দিবার কি তার ভিক্ষা লবে!
তুমি কেঁদে গেলে আমারে শুধুই নীরবে কাঁদিতে হবে॥