ঘন ঘোর মেঘ ঘেরা দুর্দিনে ঘনশ্যাম
ঘন-ঘোর-মেঘ-ঘেরা দুর্দিনে ঘনশ্যাম ভূ-ভারত চাহিছে তোমায়।
ধরিতে ধরার ভার নাশিতে এ হাহাকার আরবার এসো এ ধরায়॥
ঘন দেয়া গরজায় গো
ঘন দেয়া গরজায় গো – কেঁদে ফেরে পুবালি বায়॥
একা ঘরে মম ডর লাগে, কার বিধুর স্মৃতি মনে জাগে,
ঘন শ্যামকে উদাসী হুঁ
ঘন-শ্যামকে উদাসী হুঁ ম্যয় এ ভব সংসার মে।
প্রীত্কে ব্রজবাসী হুঁ ম্যয় রস যমুনাকি কিনার মে॥
ঘরে আয় ফিরে ফিরে আয় পথহারা
ঘরে আয় ফিরে, ফিরে আয় পথহারা ওরে ঘর-ছাড়া ফিরে আয়।
ফেলে যাওয়া তোর বাঁশরি রে কানাই কাঁদে লুটায়ে ধূলায়॥
ঘুটঘুটে এই অন্ধকারে মা
ঘুটঘুটে এই অন্ধকারে মা, হৃদয় হয়েছে ঘুঁটে।
অঙ্গ কুঁচকে হয়েছে পুঁচকে হাত পা হয়েছে কুঠে॥
ঘুম টুটেছে ফুল কলিদের
ঘুম টুটেছে ফুল-কলিদের রঙ লেগেছে ফুলবনে।
দখিনা বাতাস আভাসে জানায় আগমনী তার মোর মনে॥
ঘুমপরী স্বপনপরীর গান
নাটক : ‘মধুমালা’ (ঘুমপরী স্বপনপরীর গান)
ঘুম : আমারে ভাসালে অসীম আকাশে তোমারে ভাসানু জলে।
ঘুমাইতে দাও
ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবি রে জাগায়ো না জাগায়ো না,
সারা জীবন যে আলো দিল ডেকে তার ঘুম ভাঙায়ো না॥
ঘুমাও ঘুমাও দেখিতে এসেছি
ঘুমাও, ঘুমাও, দেখিতে এসেছি ভাঙাতে আসিনি ঘুম
কেউ জেগে কাঁদে, কারো চোখে নামে নিদালির মৌসুম॥
ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায়
ঘুমায়েছে ফুল পথের ধূলায়, (ওগো)জাগিয়ো না উহারে ঘুমাইতে দাও।
বনের পাখি ধীরে গাহ গান, দখিনা হাওয়া ধীরে ধীরে বয়ে যাও॥
ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত
ঘুমিয়ে গেছে শ্রান্ত হ’য়ে আমার গানের বুলবুলি –
করুণ চোখে চেয়ে আছে সাঁঝের ঝরা ফুলগুলি॥
ঘোমটা পরা কাদের ঘরের বৌ
ঘোমটা-পরা কাদের ঘরের বৌ গো তুমি, ও সন্ধ্যে-তারা!
তোমার চোখে দৃষ্টি জাগে হারানো কোন মুখের পারা॥