তুই কালি মেখে জ্যোতি ঢেকে
তুই কালি মেখে জ্যোতি ঢেকে পারবি না মা ফাঁকি দিতে।
ঐ অসীম আঁধার হয় যে উজল মা, মো তার ঈষৎ চাহনিতে॥
তুই জগত-জননী শ্যামা
তুই জগত-জননী শ্যামা আমি কি মা জগত ছাড়া,
কোন্ দোষে মা তুই থাকিতে আমি চির মাতৃহারা॥
তুই পাষাণ গিরি মেয়ে
তুই পাষাণ গিরি মেয়ে হ’লি পাষাণ ভালোবাসিস্ ব’লে।
মা গ’রবে কি তোর পাষাণ-হৃদয় তপ্ত আমার নয়ন-জলে॥
তুই বলহীনের বোঝা রহিস্
তুই বলহীনের বোঝা রহিস্ যেথায় ভৃত্য হ’য়ে।
যথা, দাসী হয়ে করিস্ সেবা, যা মা সেথায় ল’য়ে
তুম প্রেমকে হো ঘনশ্যাম
তুম প্রেমকে হো ঘনশ্যাম মেয় প্রেম কি শ্যাম-প্যারী।
প্রেমকা গান তুমহারে দান মেয় হুঁ প্রেম-ভিখারি॥
তুমি আঘাত দিয়ে মন ফেরোবে
তুমি আঘাত দিয়ে মন ফেরোবে এই কি তোমার আশা?
আমার যে নাথ অনন্ত সাধ, অনন্ত পিপাসা॥
তুমি আনন্দ ঘনশ্যাম
তুমি আনন্দ ঘনশ্যাম আমি প্রেম-পাগলিনী রাধা।
তব ডাক শুনে ছুটে যাই বনে আমি না মানি কুলের বাধা॥
তুমি আনমনে গেলে চলিয়া
তুমি আনমনে গেলে চলিয়া জানো না গো কারে দলিয়া।
তুমি জানো না কার পূজা-সম্ভার ভাসালে তটিনী গলিয়া॥
তুমি আমারে কাঁদাও
তুমি আমারে কাঁদাও নিজেরে আড়াল রাখি’,
তুমি চাও আমি নিশি-দিন যেন তব নাম ধরে ডাকি॥
তুমি আমায় যবে জাগাও
তুমি আমায় যবে জাগাও গুণী তোমার উদার সঙ্গীতে
মোর হাত দু’টি হয় লীলায়িত নমস্কারের ভঙ্গিতে॥
তুমি আশা পুরাও খোদা
তুমি আশা পুরাও খোদা, সবাই যখন নিরাশ করে।
সবাই যখন পায়ে ঠেলে, সান্ত্বনা পাই তোমায় ধ’রে॥
তুমি কাঁদাইতে ভালোবাস
তুমি কাঁদাইতে ভালোবাস আমি তাই নিশিদিন কাঁদি। (শ্যাম)
তুমি নিত্য নূতন বেদনার ডোরে রেখেছ আমারে বাঁধি। (বঁধু)