তোমার দেওয়া ব্যথা
তোমার দেওয়া ব্যথা, সে যে তোমার হাতের দান।
তাই তো সে দান মাথায় তুলে নিলাম, হে পাষাণ॥
তোমার নামের মহিমা
তোমার নামের মহিমা শ্রীহরি নাহি হয় যেন ম্লান।
তব নাম গেয়ে বেড়াই জগতে, সে নামের সম্মান
তোমার নূরের রওশনী মাখা
তোমার নূরের রওশনী মাখা নিখিল ভুবন, অসীম গগন।
তোমার অন্তর জ্যোতির ইশারা গ্রহ-তারা-চন্দ্র-তপন॥
তোমার পূজার ফুল ফুটেছে
তোমার পূজার ফুল ফুটেছে মাগো আমার মনে।
তুমিই এসে লহ সে ফুল তোমার শ্রীচরণে॥
তোমার প্রেমে সন্দেহ মোর
তোমার প্রেমে সন্দেহ মোর দর কর নাথ ভক্তি দাও।
যেখানে হোক তুমি আছ – এই বিশ্বাস শক্তি দাও॥
তোমার ফুল ফোটানো সুর
তোমার ফুল-ফোটানো সুর তোমার মন-কাঁদানো গান।
তোমার বাণী ব্যথাতুর আমার উদাস করে প্রাণ॥
তোমার বাণীরে করিনি
তোমার বাণীরে করিনি গ্রহণ ক্ষমা কর হজরত।
মোরা ভুলিয়া গিয়াছি তব আদর্শ, তোমারি দেখানো পথ॥
তোমার বিনা-তারের গীতি
তোমার বিনা-তারের গীতি বাজে আমার বীণা-তারে
রইল তোমার ছন্দ-গাথা গাঁথা আমার কণ্ঠ-হারে॥
তোমার বীণার মূর্ছনাতে বাজাও আমার বাণী
তোমার বীণার মূর্ছনাতে বাজাও আমার বাণী।
তোমার সুরে শোনাও আমার গানের আধেকখানি॥
তোমার বুকের ফুলদানিতে
তোমার বুকের ফুলদানিতে ফুল হব বঁধু আমি
শুকাতে হয় শুকাইব ঐ বুকে ক্ষণেক থামি’॥
তোমার মদন মোহন রূপেরই দোষ
তোমার মদন মোহন রূপেরই দোষ সুন্দর শ্যাম চাঁদ
মুিনর যদি মন টলে নাথ তাদের নয় সে অপরাধ॥
তোমার মহাবিশ্বে কিছু
তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় না তো কভু।
আমরা অবোধ, অন্ধ মায়ায় তাই তো কাঁদি প্রভু॥
তোমার লীলারসে হে কৃষ্ণ গোপাল
তোমার লীলারসে হে কৃষ্ণ গোপাল ডুবিয়ে রাখ মোরে।
তোমার আনন্দ-ব্রজে হে নন্দ-দুলাল রাখিও সাথী ক’রে॥
তোমার সৃষ্টি মাঝে
তোমার সৃষ্টি মাঝে হরি হেরিতে যে নিতি পাই তোমায়।
তোমার রূপের আবছায়া ভাসে গগনে, সাগরে, তরুলতায়॥
তোমার হাতের সোনার রাখি
তোমার হাতের সোনার রাখি আমার হাতে পরালে।
আমার বিফল বনের কুসুম তোমার পায়ে ঝরালে॥