তোমারি প্রকাশ মহান
তোমারি প্রকাশ মহান, রে নিখিল দুনিয়া জাহান্!
তোমারি জ্যোতিতে রওশন্ নিশিদিন জমিন ও আস্মান্॥
তোমারে চেয়েছি কত
পুরুষ : তোমারে চেয়েছি কত যুগ যুগ ধরি প্রিয়া।
স্ত্রী : এসেছি তাই ফিরে পুন পথিকের প্রীতি নিয়া॥
তোমারেই আমি চাহিয়াছি প্রিয়
তোমারেই আমি চাহিয়াছি প্রিয় শতরূপে শতবার।
জনমে জনমে চলে তাই মোর অনন্ত অভিসার॥
তোমায় আমায় মিল খেয়েছে
তোমায় আমায় মিল খেয়েছে ও প্রেয়সী রাজ-যোটক।
আমি যেন গোদা চরণ তুমি তাহে বিস্ফোটক॥
তোমায় কূলে তুলে
তোমায় কূলে তুলে বন্ধু আমি নামলাম জলে।
আমি কাঁটা হয়ে রই নাই বন্ধু তোমার পথের তলে॥
তোমায় ফেলে এসেছিলাম
তোমায় ফেলে এসেছিলাম সুদূর ভাটির দেশে।
কে জানিত, আসবে আবার উজান স্রোতে ভেসে॥
তোর জননীরে কাঁদাতে কি মেয়ে হয়ে এসেছিলি
তোর জননীরে কাঁদাতে কি মেয়ে হয়ে এসেছিলি।
তুই কোন শিবলোক করলি আলো, উমা মাকে শুধু দুঃখ দিলি॥
তোর নামেরই কবচ দোলে
তোর নামেরই কবচ দোলে দোলে আমার বুকে, হে শঙ্করী।
কি ভয় দেখাস্? আমি তোকেও ভয় করি না, ভয় করি না ভয়ঙ্করী॥
তোর মেয়ে যদি থাকতো উমা
তোর মেয়ে যদি থাকতো উমা, বুঝতিস তোর মায়ের ব্যথা।
যেমন বাবা তেমনি মেয়ে, এতটুকু নাই মমতা॥
তোর রাঙা পায়ে মা শ্যামা
তোর রাঙা পায়ে মা শ্যামা আমার প্রতম পূজার ফুল।
ভজন, পূজন জানি না মা হয়ত হবে কতই ভুল॥
তোরা দেখে যা আমার কানাই
তোরা দেখে যা আমার কানাই সেজেছে নবীন নাটুয়া সাজে॥
তালে তালে রুমুঝুমু, রুমুঝুমু চরণে নূপুর বাজে॥
তোরা যা লো সখি মথুরাতে
তোরা যা লো সখি মথুরাতে দেখে আয় কেমন আছে শ্যাম।
তোরা কুবুজা-সখির কাছে নিসনে লো নিসনে রাধা নাম॥
তোরা যারে এখনি
তোরা যারে এখনি হালিমার কাছে লয়ে ক্ষীর সর ননী
আমি খোয়াবে দেখেছি কাঁদিছে মা বলে আমার নয়ন-মণি॥