বঁধু আমার ভুবন ঘিরিল
বঁধু আমার ভুবন ঘিরিল যখন ঘন বাদল ঝড়ে
কাঁদিয়া উঠিল মন প্রাণ অভিসারে আসিবার তরে।
বঁধু আমি ছিনু
বঁধু আমি ছিনু বুঝি বৃন্দাবনের রাধিকার আঁখি-জলে।
বাদল সাঁঝের যুঁই ফুল হয়ে আসিয়াছি ধরা তলে॥
বঁধু জাগাইলে এ কোন্ পরম সুন্দরের তৃষা
(বঁধু) জাগাইলে এ কোন্ পরম সুন্দরের তৃষা।
(মোর) হাসিয়া দিন যায় পোহায় জাগরণে নিশা॥
বঁধু তোমার আমার
বঁধু, তোমার আমার এই যে বিরহ এক জনমের নহে।
তাই যত কাছে পাই তত এ হিয়ায় কি যেন অভাব রহে॥
বঁধু ফিরে এসো
বঁধু ফিরে এসো, আজো প্রাণের প্রদীপ রেখেছি আঁচল ঢেকে।
বিরহ-নিশাসে দীরঘ বাতাস কেঁপে ওঠে থেকে থেকে।
বঁধু মিটিল না সাধ ভালোবাসিয়া তোমায়
বঁধু মিটিল না সাধ ভালোবাসিয়া তোমায়।
তাই আবার বাসিতে ভাল আসিব ধরায়॥
বকুল চাঁপার বনে
বকুল চাঁপার বনে কে মোর চাঁদের স্বপন জাগালে –
অনুরাগের সোনার রঙে হৃদয়-গগন রাঙালে॥
বকুল ছায় ছিনু
বকুল ছায় ছিনু ঘুমায়ে গোপন পায়ে আসিলে তুমি।
রাতের শেষে ভোরের মতন ভাঙিলে স্বপন নয়ন চুমি॥
বকুল তলে ব্যাকুল বাঁশি
বকুল তলে ব্যাকুল বাঁশি কে বাজায়
যে বাঁশরি শুনে কিশোরী সহসা যেন গো যৌবন পায়॥
বক্ষে আমার কাবার ছবি
বক্ষে আমার কাবার ছবি চক্ষে মোহাম্মদ রসুল।
শিরোপরি মোর খোদার আরশ গাই তাঁরি গান পথ বেভুল॥
বছর ফিরল ফিরল না বউ
বছর ফিরল ফিরল না বউ ভাইয়ের বাড়ির থনে
হালার হুমুন্দিরা দ্যায় না ছাইর্যা হাইরে আসছি রণে
বজ্র আলোকে মৃত্যুর সাথে হবে নব পরিচয়
বজ্র আলোকে মৃত্যুর সাথে হবে নব পরিচয়, জয় জীবনের জয়।
শক্তিহীনের বক্ষে জাগাবো শক্তির বিস্ময়, জয় জীবনের জয়।
বন কুন্তল এলায়ে বন শবরী ঝুরে সকরুণ সুরে
বন-কুন্তল এলায়ে বন-শবরী ঝুরে সকরুণ সুরে।
বিষাদিত ছায়া তার চৈতালি সন্ধ্যার চাঁদের মুকুরে॥
বন কুসুম বল্ রে তোরা
বন-কুসুম! বল্ রে তোরা কোথায় বনমালী?
যাঁহার আশায় ফুটে থাকিস্ গহন বনের ধারে॥
বন তমালের শ্যামল ডালে
বন তমালের শ্যামল ডালে দোলে ঝুলন দোলায় যুগল রাধা শ্যাম।
কিশোরী পাশে কিশোর হাসে ভাসে আনন্দ সাগরে আজ ব্রজধাম॥
বন দেবী এসো গহন বন ছায়ে
পুরুষ : বন-দেবী এসো গহন-বন-ছায়ে।
স্ত্রী : এসো বসন্তের রাজা নূপুর-মুখর পায়ে॥