মা আমার ভবের
(মা) আমার ভবের অভাব লয় হয়েছে শ্যামা-ভাব-সমাধিতে।
শ্যামা রসে যে-মন আছে ডুবে কাজ কিরে তার যশ-খ্যাতিতে॥
মা আমি তোর অন্ধ ছেলে
মা! আমি তোর অন্ধ ছেলে হাত ধ’রে মোর নিয়ে যা মা।
পথ নাহি পাই যেদিকে চাই দেখি আঁধার ঘোর ত্রিযামা॥
মা আমি মুক্তা নিতে আসিনি
(মা) আমি, মুক্তা নিতে আসিনি মা ও মা তোর মুক্তি-সাগর কূলে।
মোর ভিক্ষা-ঝুলি হতে মায়ার মুক্তা মানিক নে মা তুলে॥
মা আয় মা উমা
(মা) আয় মা উমা! রাখ্ব এবার ছেলের সাজে সাজিয়ে তোরে।
(ওমা) মার কাছে তুই রইবি নিতুই, যাবি না আর শ্বশুর ঘরে॥
মা এলো রে
মা এলো রে, মা এলো রে, বরষ পরে আপন ছেলে ঘরে
সাত কোটি ভাই বোন মিলিয়া আজি ডাকি আকুল স্বরে (মাগো আনন্দময়ী)
মা ওমা তুই
(মা) ওমা তুই আমারে ছেড়ে আছিস আমি তাই হয়েছি লক্ষ্মীছাড়া
ও তোর কৃপা বিনা শক্তিময়ী শুকিয়ে গেল ভক্তিচারা॥
মা খড়গ নিয়ে মাতিস রণে
(মা) খড়গ নিয়ে মাতিস রণে নয়ন দিয়ে বহে ধারা (মা)
(এমন) একাধারে নিষ্ঠুরতা কৃপা তোরই সাজে তারা॥
মা গো আমায় শিখাইলি কেন আল্লা নাম
মা গো আমায় শিখাইলি কেন আল্লা নাম।
নাম জপিলে আর হুঁশ থাকে না, ভুলি সকল কাম॥
মা গো ভুল করেছি
(মা গো) ভুল করেছি, চোরের রাজায় ছেড়ে দিতে বলে।
সে এবার এলে শক্ত করে বাঁধিস উদূখলে।
মা তোর কালো রূপের
মা তোর কালো রূপের মাঝে রসের সাগর লুকিয়ে আছে,
তোর কৃষ্ণ জ্যোতির আড়াল টেনে মোর প্রেমময় কৃষ্ণ নাচে॥
মা তোর চরণ কমল
মা তোর চরণ-কমল ঘিরে চিত্ত ভ্রমর বেড়ায় ঘুরে’
(ওমা) সাধ মেটে না দেখে দেখে (যত) দেখি তত নয়ন ঝুরে॥
মা তোর স্নেহ-প্রেম-বন্যা ঝরে
(মা) তোর স্নেহ-প্রেম-বন্যা ঝরে ঘরে ঘরে কন্যা হয়ে।
তোর সৃষ্টি রাখেন সজীব, এঁরাই গঙ্গাধারার মত বয়ে॥
মা ব্রহ্মময়ী জননী
মা ব্রহ্মময়ী জননী১ মোর (মোরে) অব্রাহ্মণ কে বলে।
শ্যামা নামের জঠরে মোর নবজন্ম ভূতলে॥
মা মেয়েতে খেল্ব পুতুল
মা মেয়েতে খেল্ব পুতুল আয় মা আমার খেলাঘরে।
আমি মা হয়ে মা শিখিয়ে দেব পুতুল খেলে কেমন করে॥