তুমি কি পাষাণ বিগ্রহ
তুমি কি পাষাণ বিগ্রহ শুধু কহ গিরিধারী কহ।
জাগিবে না তুমি? তুমি কি আমার অন্তর্যামী নহ?
তুমি দিয়েছ দুঃখ
তুমি দিয়েছ দুঃখ-শোক-বেদনা, তোমারি জয় তোমারি জয়।
ভালোবাস যারে কাঁদাও তাহারে ছলানাময়।
তুমি দুখের বেশে এলে বলে
তুমি দুখের বেশে এলে বলে ভয় করি কি হরি।
দাও ব্যথা যতই তোমায় ততই নিবিড় করে ধরি।
তুমি পিরিতি কি কর হে শ্যাম
তুমি পিরিতি কি কর হে শ্যাম তৈল মেখে গায়ে।
তাই ধ’রতে গেলে হাত পিছলে যাও হে পালায়ে॥
তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী
তুমি প্রভাতের সকরুণ ভৈরবী।
শিশির-সজল ভোরের আকাশে ভাসে তোমারি উদাস ছবি॥
তুমি বর্ষার ঝরা চম্পা
তুমি বর্ষার ঝরা চম্পা, তুমি যূথিকা-অশ্রুমতী।
তুমি কুহেলি-মলিন ঊষা, তুমি বেদনা-সরস্বতী॥
তুমি বহু জনমের সাধ মিটালে
তুমি বহু জনমের সাধ মিটালে এ বিরহীরে কাঁদাইয়া।
কভু অবহেলা, কভু অনাদর কভু সে আদর দিয়া॥
তুমি বিদেশ যাইও না বন্ধু
তুমি বিদেশ যাইও না বন্ধু আঁধার করে পুরী।
আমি দিন গোঁয়াতে পারব না আর একলা ঘরে ঝুরি॥
তুমি বেণুকা বাজাও
তুমি বেণুকা বাজাও কার নাম লয়ে শ্যাম –
মোর সাধ যায় হরি আমি যদি সেই কিশোরী হইতাম॥
তুমি ভাগিয়াছ ভাগলুয়া
তুমি ভাগিয়াছ ভাগলুয়া দলের সাথে।
(হায় প্রিয়া!) তুমি যে ভেগেছ ভাগ্লুয়া দলের সাথে।
তুমি ভোরের শিশির
তুমি ভোরের শিশির রাতের নয়ন-পাতে।
তুমি কান্না পাওয়াও কাননকে গো ফুল-ঝরা প্রভাতে॥
তুমি মলিন বাসে থাক যখন
তুমি মলিন বাসে থাক যখন, সবার চেয়ে মানায়!
তুমি আমার তরে ভিখারিনী, সেই কথা সে জানায়!
তুমি যতই দহ না দুখের অনলে
তুমি যতই দহ না দুখের অনলে আছে এর শেষ আছে।
আগুনে পুড়িব নির্মল হব যার চরণের কাছে॥