ওগো মুর্শিদ পীর
ওগো মুর্শিদ পীর! বরো বরো রসুল কোথায় থাকে।
কোথায় গেলে কেমন ক’রে দেখতে পাব তাঁকে॥
ওঠরে চাষী জগদ্বাসী
ওঠরে চাষী, জগদ্বাসী, ধর ক’ষে লাঙ্গল।
আমরা মরতে আছি – ভাল করেই মর্ব এবার চল্॥
ওমা এক্লা ঘরে
ওমা এক্লা ঘরে ডাকব না আর দুয়ার বন্ধ করে।
তুই সকল ছেলের মা যেখানে ডাকব মা সেই ঘরে॥
ওমা কালী সেজে
ওমা কালী সেজে ফিরলি ঘরে,কোটি ছেলের কাজল মেখে।
একলা আমি কেঁদেছি মা সারাটি দিন ডেকে ডেকে॥
ওমা তোর চরণে কি ফুল দিলে পূজা হবে বল
ওমা তোর চরণে কি ফুল দিলে পূজা হবে বল।
রক্ত-জবা অঞ্জলি মোর হ’লো যে বিফল॥
ওমা ত্রিনয়নী সেই চোখ দে
ওমা ত্রিনয়নী! সেই চোখ দে যে-চোখ তোরে দেখতে পায়।
সে নয়ন-তারায় কাজ কি তারা যে-তারা লুকায় মা তারায়॥
ওমা দনুজ দলনী মহাশক্তি
ওমা দনুজ-দলনী মহাশক্তি নমো অনন্ত কল্যাণ-দাত্রী (নমো)।
পরমেশ্বরী মহিষ-মর্দিনী চরাচর-বিশ্ব-বিধাত্রী (নমো নমঃ)॥
ওমা দুঃখ-অভাব-ঋণ যত মোর
(ওমা) দুঃখ-অভাব-ঋণ যত মোর (শ্যামা) রাখলাম তোর পায়ে।
(এবার) তুই দিবি মা, ভক্তের তোর সকল ঋণ মিটায়ে॥
ওমা নির্গুণেরে প্রসাদ দিতে তোর মত কেউ নাই
ওমা নির্গুণেরে প্রসাদ দিতে তোর মত কেউ নাই।
তোর পায়ে মা তাই রক্তজবা গায়ে শ্মশান-ছাই॥
ওমা ফিরে এলে কানাই মোদের
ওমা ফিরে এলে কানাই মোদের এবার ছেড়ে দিস্নে তায়।
তোর সাথে সব রাখাল মিলে বাঁধ্ব সে-ননী চোরায়॥
ওমা ভুঁড়ি নিয়ে গেলাম
[ওমা – ভুঁড়ি নিয়ে গেলাম মা – ওমা – মা-মা-মা]
দয়া করে দয়াময়ী ফাঁসিয়ে দে এই ভুঁড়ি
ওমা যা কিছু তুই দিয়েছিলি
ওমা যা কিছু তুই দিয়েছিলি ফিরিয়ে দিলাম তোকে।
তুই ছাড়া আর বলতে আপন (কেউ) রইল না ত্রিলোকে॥
ওম্ সর্বমঙ্গল্যে শিবে
[ওম্ সর্বমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরী নারায়ণী নমোস্তুতে॥]
ওরা মানুষের তরে মালা গাঁথে
নাটক : ‘অর্জুন-বিজয়’
(ওরা) মানুষের তরে মালা গাঁথে, তাই সে-মালা শুকিয়ে যায় গো!
ওরে অবোধ আঁখি
ওরে অবোধ আঁখি! আর কতদিন রইবি রূপে ভুলে।
অরূপ সাগর দেখলি না তুই দাঁড়িয়ে রূপের কুলে॥
ওরে অবোধ গরম জলে ঘর কি কভু পোড়ে
ওরে অবোধ! গরম জলে ঘর কি কভু পোড়ে?
আপন জনের আঘাত কি কেউ রাখে মনে করে (রে)?
ওরে আজই না হয় কালই তোরে কালী কালী বল্তে হবে
ওরে আজই না হয় কালই তোরে কালী কালী বল্তে হবে।
তুই কাঁদ্বি ধ’রে কালীর চরণ মহাকাল আসিবে যবে॥