সখি শ্যামের স্মিরিতি
নাটক: “সিরাজউদ্দৌলা”
সখি শ্যামের স্মিরিতি শ্যামের পিরিতি মম জীবন মরণের সাথী।
সখি সাজায়ে রাখ্লো পুষ্প বাসর
সখি সাজায়ে রাখ্ লো পুষ্প-বাসর তেমনি করিয়া তোরা,
কে জানে কখন্ আসিবে ফিরিয়া গোপিনীর মনোচোরা।
সখি সাপের মণি
সখি সাপের মণি বুকে ক’রে কেঁদে নিশি যায়
কাল-নাগিনী ননদিনী দেখ্তে পাছে পায় (লো সখি)॥
সখি সেই ত পুষ্প শোভিতা
সখি, সেই ত পুষ্প-শোভিতা হ’ল আবার মাধবীলতা।
মাধবী চাঁদ উঠেছে আকাশে, আমার মাধব কোথা।
সঙ্গ শরণ তীর্থযাত্রা
সঙ্গ শরণ তীর্থযাত্রা-পথে এসো মোরা যাই।
সংঘ বাঁধিয়া চলিলে অভয় সে পথে মৃত্যু নাই
সজল কাজল মেঘ বয়ে এলো
সজল কাজল মেঘ ব’য়ে এলো কার বাণী
পড়িল মনে মিনতি তারি – ‘খুলো না যেন এই রাখীখানি’।
সন্ধ্যা আঁধারে ফোটাও দেবতা
সন্ধ্যা-আঁধারে ফোটাও দেবতা, শুভ্র রজনীগন্ধা।
নিরাশা-শুষ্ক পরানে বহাও প্রেমের অলকানন্দা॥
সন্ধ্যা ঘনালো আমার
সন্ধ্যা ঘনালো আমার বিজন ঘরে তব গৃহে জ্বলে বাতি।
হাসিয়া ফুরায় তব উৎসব-নিশি (প্রিয়) পোহায় না মোর রাতি॥
সন্ধ্যা হলো ঘরকে চলো
সন্ধ্যা হলো ঘরকে চলো, ও ভাই মাঠের চাষি
ভাটিয়ালি সুরে বাজে রাখাল ছেলের বাঁশি॥
সন্ধ্যার আঁধার ঘনাইল মাগো
সন্ধ্যার আঁধার ঘনাইল মাগো তুমি ফিরিলে না ঘরে।
শূন্য ভবনে ভয়ে মরি মা মন যে কেমন করে॥