হায় তুমি চলে যাবে দূরে
নাটিকা : ‘লায়লী-মজনু’
(হায়) তুমি চ’লে যাবে দূরে লায়লী তব মজনু কাঁদিবে একা।
হায় ভিখারি কাহার কাছে
হায় ভিখারি কাহার কাছে হাত পাতিলে হায়।
তোমার চেয়েও আমি যে দীন কাঙাল অসহায়॥
হায় হায় উঠিল মাতম
হায় হায় উঠিল মাতম আকাশ পবন ভুবন ভরি।
আখেরি নবী দ্বীনের রবি বিদায় নিল বিশ্ব-নিখিল আঁধার করি॥
হিন্দু মুসলমান দুটি ভাই
হিন্দু-মুসলমান দুটি ভাই ভারতের দুই আঁখি-তারা।
এক বাগানে দুটি তরু – দেবদারু আর কদমচারা॥
হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু
হুল ফুটিয়ে গেলে শুধু পারলে না হায় ফুল ফোটাতে।
মৌমাছি যে ফুলও ফোটায় হুল ফোটানোর সাথে সাথে॥
হৃদি বৃন্দাবন বিহারিণী
হৃদি বৃন্দাবন-বিহারিণী তিনি রাধা (শ্রীরাধা)।
(আমি) তাঁহারি গোলকে প্রেম-ভিখারি তাঁরই শ্রীচরণে বাঁধা॥
হৃদয় কেন চাহে হৃদয়
হৃদয় কেন চাহে হৃদয়, আমি জানি মন জানে
জানে নদী কেন যে সে, যায় ছুটে সাগর পানে॥
হৃদয়েরি পটে তোমার মূরতি রেখেছি
হৃদয়েরি পটে, তোমার মূরতি রেখেছি আঁকিয়া যতনে।
ভালোবাসা দিয়ে রেখেছি ঘিরিয়ে নিভৃত পরানে গোপনে॥
হে কৃষ্ণ চাঁদ
হে কৃষ্ণ চাঁদ দাসীর হৃদয়ে কখন উদয় হবে?
তুমি চিরদিন কৃষ্ণা তিথির আঁধারে কি ঢাকা রবে?
হে গোবিন্দ ও অরবিন্দ
হে গোবিন্দ, ও অরবিন্দ চরণে শরণ দাও হে।
বিফল জনম কাটিল কাঁদিয়া, শান্তি নাহি কোথাও হে॥